মায়ের পরকীয়ার জেরে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ, বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীতে মায়ের পরকীয়ার জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থী নাঈম খানকে হত্যা করা হয় এমন অভিযোগ এনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে নিহত নাঈমের বাবা ও তার স্বজনদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত নাঈম রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ধুঞ্চী গোদার বাজার গ্রামের মান্নান খানের ছেলে।
মানববন্ধন চলাকালে নাঈমের বাবা মান্নান আলী খান, চাচা ফরিদুল ইসলাম সুখাই, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।
জানা যায়, ২০০১ সালে মান্নান খানের সাথে একই উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চাদপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন শেখের মেয়ে নাছরিন বেগমের বিয়ে হয়। তাদের গর্ভে নাঈম ও তার বড় বোন শম্পার জন্ম হয়। ২০০৬ সালে নাঈমের বাবা মান্নান খান জীবিকার টানে দুবাই যান। সেখানে চাকুরীরত অবস্থায় উপার্জিত সকল অর্থ তিনি তার স্ত্রী নাছরিন বেগমের কাছে পাঠাতেন। কিন্তু নাছরিন এসব অর্থ ইচ্ছামাফিক আমোদ প্রমোদে ব্যয় করতেন। এমনকি স্বামী বিদেশে চলে যাওয়ার পর সে রফিক নামে এক প্রতিবেশীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এরপর ২০১৩ সালে মান্নান খান দুবাই থেকে বাড়ীতে আসেন। বাড়ীতে এসে সে তার স্ত্রীর কাছে ৭ বছর ধরে পাঠানো অর্থের হিসাব চাইলে সে টালবাহানা করে এবং এক পর্যায়ে সে তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়। এরপর সুযোগ বুঝে ২০১৪ সালে নাছরিন বিদেশে চলে যান।এরপর ২০২৩ সালে সে দেশে আসেন এবং তার পুত্র নাঈমকে নানাভাবে ফুসলিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে তার কাছে নিয়ে যান।২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় নাঈম নানা বাড়ীতে মায়ের কাছেই বসবাস করতে থাকে এবং ২০২৪ সালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এরই মধ্যে ওই বাড়ীতে তার মায়ের পরকীয়া প্রেমিক মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতো। এটি দেখে সে তার মায়ের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকালে নানা বাড়ীতে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে মায়ের আপত্তিকর দৃশ্য দেখে ফেলায় তারা পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেছিয়ে নাঈমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নাঈমের বাবা মান্নান খান গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী ধুঞ্চি গোদার বাজার গ্রামের আহম্মেদের ছেলে রফিক, নাছরিন বেগম ও রফিকের ভায়রা রাকিব সেখকে আসামী করে ৩০২/৩৪ ধারায় রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

+ There are no comments

Add yours