ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের শহরতলীর কানাইপুরের দিগনগর এলাকায় বাস পিক-আপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৩ জনের মধ্যে ১০জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এ্যাবলুম হাইওয়ে রেষ্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সাথে ঢাকা গামী যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ ১১ জন নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী, দুইজন শিশু ও চারজন পুরুষ রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।
তাদের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী উপজেলায় বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ১০জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন। তারা হলেন বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০), তার স্ত্রী সুমি (৩০) ও দুই ছেলে আবু রায়হান (৬) আবু সিনান রুহান (৫), একই গ্রামের ওহাব মোল্যার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০), আলফাডাঙ্গার মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া (২৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সূর্য (৬০), কুসুমদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), চরবাইল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে তবিবুর রহমান (৬০) ও হিদাডাঙ্গা গ্রামের আমীর আলীর স্ত্রী কোহিনুর (৫৫)।
এছাড়া নিহত রাকিবুলের বোন খুরিয়া বেগম (৭০) দুর্ঘটনায় আহত হন।
নিহত রাকিবুলের ফুফাতো ভাই মকিবুল ইসলাম জানান, ত্রাণের টিন নিতে আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে তারা পিকআপে করে ফরিদপুর সদরে আসছিলেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, পিকআপটি উল্টা লেনে চলে আসার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, নিহতদের দাফনের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়া নিহত প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours