প্রতিবছর ৫হাজার পরিবারের মধ্যে সেহরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন নুরু শিকদার

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজবাড়ীতে প্রতি বছর গড়ে ৫হাজার অসহায় পরিবারের মধ্যে সেহরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কুয়েত প্রবাসী নুরুল ইসলাম শিকদার ওরফে নুরু শিকদার।
এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ২৫ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি ছোলা, দুই কেজি খেজুর, দুই লিটার তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি চিড়া, এক কেজি মুড়ি, দুই কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি রসুন, এক কেজি লবণ, এক কেজি সেমাই, এক প্যাকেট দুধ ও ৫০ গ্রাম কিসমিস।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে গত ৮ বছর ধরে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের মধুরদিয়া গ্রামে নিজ বাড়ীতে আল নিমা অ্যান্ড নুর কুয়েতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ মহতী কার্যক্রম করে আসছেন নুরুল ইসলাম শিকদার।
রমজান মাস এলেই এসব খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তার বাড়ীতে ভীড় করেন। সিরিয়াল মতো খাতায় নাম লিখে সুষ্ঠভাবে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন ফাউন্ডেশনটির কর্মীরা। আর এ মাসটির জন্য পুরো ১১ মাস অপেক্ষায় থাকেন এসব অসহায় মানুষ।
আল নিমা অ্যান্ড নুর কুয়েতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম শিকদার বলেন, তিনি দীর্ঘ বছর কুয়েতে ছিলেন। কুয়েতে থাকা অবস্থাতেই ২০১৬ সালে এ কার্যক্রম শুরু করি। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে ১২হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। গড়ে প্রতি বছর ৫হাজার মানুষের মধ্যে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকি।


তিনি বলেন, পুরো রমজান মাসকে আমরা তিনভাগে ভাগ করি। প্রথম ১০ দিন জনপ্রতি প্রায় ৪হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর বাকী ১০ দিন জনপ্রতি ২হাজার টাকা এবং বাকী ১০ দিন ১হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, শুধু সেহরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণই নয় এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে ১২০টি মসজিদ এবং ২৫টি মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে। আরো ১২টি মসজিদের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২৭শটি পরিবারের মাঝে টিউবয়েল স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে।
ডালিম বেগম নামে এক নারী বলেন, আমার মতো অনেকেই ১১ মাস অপেক্ষায় থাকি কবে রমজান মাস আসবে। রমজান মাস এলেই এখান থেকে ১বস্তা চালসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পাই। যা দিয়ে পুরো রমজান মাস আমাদের চলে যায়।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ বলেন, নুরুল ইসলাম শিকদার যে কাজটি করছেন তা নজির বিহীন। এ কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

+ There are no comments

Add yours