গ্রাম পুলিশ রনজিৎ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, একজন গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে পাহাড়ায় কর্মরত অবস্থায় গ্রাম পুলিশ রনজিৎ কুমার দে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছাগল চোরদের চিনে ফেলা এবং চোরদের থানায় সোপর্দ করার কথা বলায় চোরেরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে মুক্তার শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার ও চুরি হওয়া একটি ছাগল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ।
গ্রেফতারকৃত মুক্তার শেখ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ঝাউকাঠি গ্রামের আজিদ শেখের ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, আমাদের জেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়। নির্বাচনের আগের দিন গত ৬ জানুয়ারি সকালে বালিয়াকান্দি উপজেলার চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত অবস্থায় একজন গ্রাম পুলিশ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা এটিকে স্পেশাল রিপোর্টেট কেস হিসেবে ঘোষণা করি এবং একটি তদন্ত টিম আমরা গঠন করি। তদন্ত টিমে ৫জন সদস্য ছিল। আমরা এই হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন করতে পেরেছি।মুলত ছাগল চুরিকে কেন্দ্রে করে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়।ঘটনাস্থল চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দুটি বাড়ী থেকে দুটি ছাগল চুরি করে মুক্তারসহ ৩জন। নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশী টহল থাকায় তারা চর আড়কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মেহগনি বাগানে অবস্থান নেয়। এরপর রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে গ্রাম পুলিশ রণজিৎ বিদ্যালয়ের পিছনে যান এবং তাদের চিনে ফেলেন। এ সময় তারা তাকে টাকা অফার করে। কিন্তু তিনি এতে রাজী না হয়ে তাদেরকে থানায় ধরিয়ে দিতে চাইলে তারা তাদের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে রণজিৎ কুমারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।এরপর একজন ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরেকজন গ্রাম পুলিশ রনজিতের গলায় যে মাফলার ছিল সেটি ধরে টেনে হিচড়ে বিদ্যালয়ের ওয়াশ রুমের পাশে তার মৃতদেহ ফেলে রাখে।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত মুক্তারের বাড়ী মধুখালীতে হলেও তার শ্বশুর বাড়ী বালিয়াকান্দির চর আড়কান্দিতে। স্থানীয় আরো যে দুজন ছিল তারা স্থানীয়। তদন্তের স্বার্থে আমরা তাদের নাম বলছি না।তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

+ There are no comments

Add yours