ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে। সোমবার গেটগুলি খোলা হয়, যার ফলে একদিনেই বাংলাদেশে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবেশ করবে। গেটগুলি খোলার ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার কারণে পানির ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল আসেনি। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় পানি বিপৎসীমার ৭৭.৩৪ মিটার ওপরে বইতে থাকায় গেট খুলতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে বাংলাদেশকে আগে থেকেই তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছে। এই জেলা গুলো হল: ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এসব জেলার ৭৭টি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। মোট ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯০১টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৩০।
ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে বলেছেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সবসময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রতিমুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে পরিমাণ পানির চাপ তৈরি হয়েছে, তাতে ১০৯টি গেটের সবকটি খুলে না দিলে ব্যারেজের ওপর বিশাল চাপ পড়ত, যা বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারত। বর্তমানে ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক এবং ডাউনস্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours