রাজবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধীছাত্র আন্দোলনে শহীদ গনির কুলখানি অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি॥ সরকারী চাকুরীতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুরের বাসিন্দা শহীদ আঃ গনির কুলখানি উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শুক্রবার বাদ জুম্মা সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল গণির নিজ বাড়ীর পাশের মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী বাবু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, নিহত আব্দুল গণির বাবা আব্দুল মজিদ শেখ ও ছেলে আলামিন শেখ বক্তব্য দেন।


পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আব্দুল গণির রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজবাড়ীর ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল এরশাদ মুহাম্মদ সিরাজুম্মুনির।
এ সময় রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মিয়া, সাবেক দপ্তর সম্পাদক খোন্দকার নুরুল নেওয়াজ, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেদ পাভেল, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী দুলাল, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মজিবর শেখ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

20240830 143009


জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আসলাম মিয়া বলেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার এলাকার সন্তান আঃ গণি শেখ। তার অকাল মৃত্যুতে তার পরিবারে অসহায়ত্ব নেমে আসে। আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি আমরা তাদের পাশে রয়েছি। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তার কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও তার ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ আমরা বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আঃ গণির পরিবারের যেকোনো বিপদ আপদে আমরা জেলা বিএনপি পাশে থাকবো।


প্রসঙ্গত, রাজধানীর গুলশানে-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৯ শে জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন গণি। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *