২০২৫ সালে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত? আজকের বাজার বিশ্লেষণ

২০২৫ সালে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত? এই প্রশ্নটা এখন শুধু আমার না, আমাদের সবার। গত সপ্তাহে বাজারে গেলাম পেঁয়াজ কিনতে। আমারা  মনে হচ্ছিল যেন পেঁয়াজের জন্যই যুদ্ধ চলছে!  এক দোকানে বলল ৫৫ টাকা, আরেকজন ৬৫ ! মাথায় তখনই প্রশ্ন ঘুরতে লাগল: কারণ রান্নাঘরের রাজা-রানী যাই থাকুক, পেঁয়াজ ছাড়া বাঙালির রান্না ঠিক জমে না।

আসলে এই প্রশ্নটা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দাম কখনো হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে, আবার কমে গিয়ে আশ্বাস দিচ্ছে—”এবার ঠিক আছে!” কিন্তু সেই ভরসা কতক্ষণ থাকে? নিত্যপ্রয়োজনীয় এই জিনিসটার দাম যদি না বুঝি, তাহলে মাস শেষে বাজেট গোলমাল হবেই।

এই লেখায় আমি শেয়ার করব

  • পেয়াজ উৎপাদিত এলাকায় কত দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে,
  • পাইকারি বনাম খুচরা দামের তফাৎ,
  • যদি আপনি ১২ কেজি একসাথে কিনতে চান, তাহলে কত পড়বে,
  • পেঁয়াজের বাজার দর ২০২৫
  • খুচরা ও পাইকারি পেঁয়াজের দাম
  • পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ
  • কিভাবে কম দামে পেঁয়াজ কিনবেন
  • পেঁয়াজের মৌসুমি দাম

চলুন, এই বাজারের হিসেবটা একবার চোখ বুলিয়ে নেই!

আজকের বাজার দর: বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ২০২৫

এইতো গতকালই আমার মামাতো ভাই ফরিদপুর থেকে ফোন দিল, বলল ওখানে পেঁয়াজ ৪০  টাকা কেজি! আর আমি ঢাকায় কিনলাম ৬৫ টাকায়। ভাবুন তো, একটা দেশের ভেতরেই এমন তফাৎ কেন? বাংলাদেশে আজকের পেঁয়াজের দাম কত—এই প্রশ্নের উত্তর এক লাইনে দেওয়া মুশকিল, কারণ দাম জেলার ওপর নির্ভর করে রীতিমতো ঢেউ খেলে।

ভিন্ন ভিন্ন জেলার দাম তুলনা

ঢাকায় আজকে পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫-৬৫  টাকার মধ্যে, কিন্তু রাজশাহীতে সেটা নেমে এসেছে ৫০ টাকায়। গ্রামীণ এলাকায় যেখানে পরিবহন খরচ কম, সেখানে তুলনামূলক কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে।  জেলার ভিত্তিতে পেঁয়াজের দাম ৪০-৫৫ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে।

পাইকারি বনাম খুচরা দাম

পাইকারি বাজারে দাম একটু কমই থাকে—আজকের দিনে খোলা বাজারে পাইকারি দরে পেয়েছি ৪৫-৫০  টাকা কেজি। কিন্তু খুচরা দোকানে গেলেই সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫-৬৫  টাকা। দোকানদাররাও বলেন, পরিবহন, সংরক্ষণ আর ভাঙা ঝাঁজ-পচা আলাদা করতেই এই অতিরিক্ত খরচ। পাইকারি দামে পেঁয়াজ প্রায় ১৫-২০ টাকা কম পাওয়া যায়।

আমার পরিচিত একজন পেয়াজ ব্যবসায়ী নাম বিল্লাল সেক । ‍তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট বাজারে। তিনি মূলত প্রতি হাটে পেয়াজ কিনে ঢাকাতে বিক্রি করে। সে আমাকে একটা গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছে ।

বিল্লাল ভাই জানান,পেয়াজের মানের উপর ভিত্তি করে ২০২৫ সালের রোজার ইদের আগে আমরা পেয়াজ কিনেছি ১১০০- ১৩০০ টাকা মণ। অর্থাৎ ২৭-৩২ টাকা কেজী। একই পেয়াজ ইদের পর পাইকারী দাম ১৮০০-২০০০ টাকা মণ । অর্থাৎ ৪৫-৫০ টাকা কেজী। বাজার এত দ্রুত উঠার নামার জন্য আমরা সবাই অবাক হয়েছি। এখন পাইকারী ১৬০০ ১৮০০  টাকা মণ।  অর্থাৎ  ৪০-৪৫  টাকা কেজী।

অনলাইন ও অফলাইন মার্কেটের পার্থক্য

ইদানীং কিছু লোক অনলাইনে (Daraz, Chaldal, Evaly-জাতীয় অ্যাপে) পেঁয়াজ কিনছেন। তবে দাম একটু বেশি, সাধারণত ৫৫-৬৫ টাকা, কিন্তু সুবিধা হলো বাসায় পৌঁছে দেয়। তবে আমি নিজে ২ বার অনলাইন অর্ডার দিয়ে পেয়েছি আধা-পচা পেঁয়াজ! তাই নিয়মিত বাজারে যাওয়াটাই এখনো সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। অনলাইনে কিনলে সময় বাঁচে, কিন্তু গুণগত মানের ওপর নজর দিতে হয়।

এখন একটা বিষয় আপনাদের দেখায়। অনলাইল প্লাটফ্রম ভেদে দামের তারতম্য হয়ে থাকে। 

আজকের দিনে সপ্ন থেকে নিলে ৫৫ টাকা কেজী দেশী পেয়াজ । (Link only for information)

Onion Price in shwapno

চালডালে অর্ডার দিলে ৫৯ টাকা কেজী। (Link only for information)

Onion Price in chaldal
Onion Price in chaldal

১২ কেজি পেঁয়াজের দাম কত? – গণনাভিত্তিক বিশ্লেষণ

একটি মজা ঘটনা দিয়ে শুরু করি। একদিন বাজার থেকে টুনা মাছ কিনে আনলাম। বাড়িতে ফেরার পর বউ মাছ দেখেই বললো , পেয়াজ কোথায় ? সে জানালো টুনা মাছ বেশি পেয়াজ দিয়ে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়।

আবার বাজারে গেলাম পেঁয়াজ কিনতে। বাজারে গিয়ে বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, ১ কেজি নয় ১২ কেজি পেঁয়াজ নিবো। ১২ কেজি পেঁয়াজের দাম কত করে নিবেন?” কারন টুনা মাছে রান্না করতে অনেক পেয়াজ লাগবে তাছাড়াও আমাদের পরিবারে পেঁয়াজ একটু বেশিই লাগে। সে একচোট হাসল, বলল, “ভাই, বেশি নিলে তো ছাড় থাকবেই ।

বর্তমান দাম থেকে ১২ কেজির হিসাব

ধরা যাক আজকের বাজারে খুচরা দরে পেঁয়াজ ৬৫  টাকা কেজি। তাহলে সোজা হিসাবে ১২ কেজি × ৬৫  টাকা = ৭৮০  টাকা

আমি সবসময় খুচরা দোকন থেকে পেয়াজ কিনে থাকি। সেক্ষেত্রে দেখা যায় ৭৮০ টাকা দাম হলে ৮০-৫০ টাকা ছাড় পাওয়া যায়। 

খুচরা দরে ১২ কেজি পেঁয়াজ কিনলে ৮০ টাকা ছাড় দিলে কেজী প্রতি ৫৮ টাকা কেজী দামে পাওয়া যায়। এটা বেশ ভালো ব্যাপার। অর্থাৎ আপনি খুচরা বাজারে একটু বেশী পরিমান দামাদামী করে কিনলে বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় পাবেন।  

কোন সময় দাম কম বা বেশি হয়?

বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে কমে—বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, যখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসে। আর রোজার সময় বা বৃষ্টির মৌসুমে দাম হুট করে বেড়ে যায়। তখন ১ কেজি পেঁয়াজের দাম এমনভাবে লাফায়, যেন অলিম্পিক দৌড়! দাম কমে শীতকালে, আর বেড়ে যায় উৎসব ও মৌসুমি ঝুঁকিতে।

বেশি পেঁয়াজ কিনলে কেমন ছাড় মেলে?

আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলি—গত মাসে আমি আজিমপুর আড়ত থেকে ১৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম একসাথে। শুরুতে ৬৫ টাকা বলেছিল, পরে দরাদরি করে ৬০ টাকায় রাজি করালাম। দোকানি বলল, “ভাই আপনি তো bulk নেন, দেন ছাড় দিলাম।” বেশি কিনলে ১০-১৫% পর্যন্ত ছাড় মেলে—শুধু দরাদরি একটু বুঝে করতে হয়!

কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ে বা কমে – কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ

পেঁয়াজের দাম এমন একটা জিনিস, যা সকালে যা থাকে, বিকেলে তা থাকেনা! কখনো মনে হয় দাম পাখা মেলে উড়ছে, আবার কখনো হঠাৎ পড়ে গিয়ে ভরসা দেয়। কিন্তু এই ওঠানামার পেছনে আসলে কী কারণ? চলুন সহজ করে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেখে নেই।

১. মৌসুমি প্রভাব – আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে দাম

পেঁয়াজ চাষ হয় মৌসুমি ভিত্তিতে। শীতকালে (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি) দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমে। কিন্তু বৃষ্টির সময় বা গরমকালে, যখন মাঠে পেঁয়াজ থাকে না, তখন দাম বেড়ে যায়। খরার সময় বা অতিবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হলে তো কথাই নেই—দাম রীতিমতো আগুন! পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে কম থাকে শীতকালে, আর বাড়ে বর্ষা বা গরমে।

২. আমদানি-রপ্তানির পরিস্থিতি – প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভর

বাংলাদেশ অনেকটাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ভারত যদি রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বা শুল্ক বাড়িয়ে দেয়, সাথে সাথে আমাদের বাজারে দাম লাফ দেয়। ২০১৯ সালের সেই ঘটনাটা মনে আছে? হুট করে রপ্তানি বন্ধ, আর আমাদের বাজারে ১ কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা! ভারত বা অন্য উৎস দেশের নীতির পরিবর্তনে হুট করেই দাম বাড়ে।

১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত
১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত

৩. সংরক্ষণের অভাব – ফসল থাকলেও স্থায়ী হয় না

পেঁয়াজ অনেক সময় মাঠে ভালো ফলন হয়, কিন্তু সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় পচে যায়। অনেক কৃষক বলেই থাকেন, “পেঁয়াজ তোলা গেল, কিন্তু রাখার জায়গা নাই!” এই কারণে দাম একসময় কমে, পরে হঠাৎ আবার বেড়ে যায়, কারণ বাজারে ঘাটতি পড়ে। সঠিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় দাম ওঠানামা করে।

৪. সরকারি নীতিমালা – বাজার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ

সরকার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝে মাঝে অস্থায়ীভাবে শুল্ক কমায়, আমদানি বাড়ায় বা টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করে। কিন্তু কখনও আবার এই পদক্ষেপ দেরি হলে বা যথেষ্ট সরবরাহ না থাকলে দাম বেপরোয়া হয়ে যায়। নীতিমালার সঠিক সময়ে কার্যকর না হলে বাজারে দ্রুত প্রভাব পড়ে।

পরামর্শ: কিভাবে কম দামে ভালো পেঁয়াজ কিনবেন

পেঁয়াজ তো প্রতিদিনই লাগে, তাই যদি একটু কৌশলী হন, তাহলে মাস শেষে ভালোই টাকার সাশ্রয় হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু টিপস শেয়ার করছি—যা অনেকেই কাজে লাগিয়েছেন।

১. মৌসুমি কেনাকাটার কৌশল

যখন বাজারে পেঁয়াজের মৌসুম থাকে—নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি—তখন দাম থাকে সবচেয়ে কম। এই সময় বেশি পরিমাণে কিনে সংরক্ষণ করলে পরে চড়া দামে আর কিনতে হয় না। আমি নিজে একবার জানুয়ারিতে ২০ কেজি কিনে ৩ মাস খরচ সেরে ফেলেছিলাম। মৌসুমে কিনে গুছিয়ে রাখুন, দাম কম, মান ভালো।

২. আড়ত থেকে কিনলে সুবিধা

দোকানে গেলে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেশি গুণতে হয়। কিন্তু যদি সময় মেলে আর সাহস থাকে দরাদরির, তাহলে আড়তে গিয়ে কিনুন। একবার শ্যামবাজার থেকে ১০ কেজি কিনে আমি দোকানের চেয়ে ১৮০ টাকা কম দিয়েছিলাম! আড়তে কিনলে কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বাঁচানো যায়।

৩. বাল্ক কিনে সংরক্ষণের টিপস

অনেকে ভাবে বেশি কিনে রাখলে পেঁয়াজ পচে যাবে। কিন্তু শুষ্ক, বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় জাল ব্যাগে করে রাখলে অনেকদিন ভালো থাকে। এক বন্ধু পুরান কাপড়ের থলে ব্যবহার করে ১ মাস পেঁয়াজ ভালো রেখেছিল!  ঠান্ডা, শুকনা জায়গা, জাল ব্যাগ বা খোলা থলে—এই হল পেঁয়াজ টিকিয়ে রাখার মূল মন্ত্র।

FAQ – পাঠকদের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর

Q1: ১ কেজি পেঁয়াজের দাম কত এখন?

বর্তমানে বাংলাদেশে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। খুচরা বাজারে দাম ৫৫ থেকে৬৫ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে। আর আড়তে বা পাইকারি দরে পাওয়া যায় প্রায় ৪৫ থেকে ৬৫টাকায়। বর্তমানে ১ কেজি পেঁয়াজের দাম ৫৫–৬৫  টাকা (খুচরা)।


Q2: ১২ কেজি পেঁয়াজ কিনলে কি ছাড় পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, বেশি পরিমাণে (বাল্কে) পেঁয়াজ কিনলে সাধারণত প্রতি কেজিতে ৫–১০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়, বিশেষ করে যদি আড়ত বা পাইকারি মার্কেট থেকে কেনা হয়।

হ্যাঁ, ১২ কেজি কিনলে মোটে ১০০–১২০ টাকা পর্যন্ত ছাড় মিলতে পারে।



Q4: কবে পেঁয়াজের দাম কমে?

বাংলাদেশে সাধারণত শীতকাল (নভেম্বর–ফেব্রুয়ারি) পেঁয়াজের মৌসুম, তখন দাম তুলনামূলক কম থাকে। কারণ দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসে বেশি পরিমাণে। পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে কম থাকে শীতকালে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি।


Q5: ভারত থেকে আমদানি হলে দাম কীভাবে পরিবর্তিত হয়?

ভারত থেকে আমদানি বাড়লে দেশীয় বাজারে সরবরাহ বাড়ে, ফলে দাম কমে যায়। কিন্তু ভারত যদি হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ করে, তখন বাংলাদেশে দাম দ্রুত বেড়ে যায়। ভারত আমদানি চালু থাকলে দাম কমে, বন্ধ হলে বেড়ে যায়।

সারাংশ ও ব্যক্তিগত মতামত

পেঁয়াজের দাম নিয়ে আজকাল ভাবা যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কখন দাম বাড়বে, কখন কমবে—এই অনিশ্চয়তা আমাদের রান্নাঘর থেকে শুরু করে বাজারের দরদাম পর্যন্ত প্রভাব ফেলে। এই লেখায় আমি চেষ্টা করেছি ২০২৫ সালের পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি, বিভিন্ন জেলায় দামের পার্থক্য, পাইকারি বনাম খুচরা মূল্য, এমনকি বীজের খরচ পর্যন্ত সহজভাবে তুলে ধরতে।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলছে—দাম যখন কম থাকে, তখন একটু কৌশলী হয়ে কিনে রাখা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আর বাজার পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়, মৌসুম, আমদানি, সংরক্ষণ—সবকিছু মিলিয়েই এই পেঁয়াজের দামের খেলাঘর।

আমাদের উচিত শুধু দাম দেখে ক্ষোভ ঝাড়ার বদলে একটু সচেতন হওয়া। মৌসুম বুঝে কেনাকাটা, আড়তের খোঁজ রাখা আর সংরক্ষণ কৌশল জানা থাকলে অনেকটাই সাশ্রয় সম্ভব। ভবিষ্যতে দাম বাড়লেও যেন আমরা প্রস্তুত থাকি—সেটাই হোক এই লেখার মূল বার্তা।

আপনি যদি এই তথ্যগুলো কাজে লাগান, বিশ্বাস করুন—বাজারে গেলে আর দাম শুনে মাথা ঘুরবে না, বরং আপনি নিজেই জানবেন, কখন, কোথা থেকে আর কতটাকায় কিনলে সবচেয়ে লাভ।

Leave a Comment