ব্যাপক উত্তেজনা, গোলের ঝড়ের সম্ভাবনা, মাঠে হাতাহাতি ও একের পর এক লাল কার্ড—সব মিলিয়ে বাংলাদেশ বনাম আর্জেন্টিনা ফুটবল ম্যাচ পরিণত হয় পুরো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আলোচিত লড়াইয়ে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লাতিন বাংলা সুপার কাপ ২০২৫-এর এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়ে।
অনূর্ধ্ব-২০ (U-20) পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে রেড গ্রিন ফিউচার স্টার এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে মাঠে নামে বুয়েনস এইরেসভিত্তিক ক্লাব আতলেতিকো চার্লোন।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
ম্যাচের শুরুটা হয় বাংলাদেশ দলের দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে। ৪র্থ মিনিটেই দুর্দান্ত শটে দলকে লিড এনে দেন মাসুদ রানা। এতে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে দর্শকরা।
২১তম মিনিটে মোহাম্মদ মানিক অসাধারণ ড্রিবলিং করে গোল করলেও সেটি অফসাইড হওয়ায় বাতিল হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে আসে আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে নেওয়া চোখধাঁধানো শটে আলিয়ান সামিয়েন্তো গোল করে চার্লোনকে ১-১ সমতায় ফেরান।
হাতাহাতি ও লাল কার্ডে উত্তাপ
ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেফারি সরাসরি তিনটি লাল কার্ড দেখান।
আর্জেন্টিনার পক্ষে লাল কার্ড:
দেভিদ বেভজিনি
মাতিয়াস রোসালেস
বাংলাদেশের পক্ষে লাল কার্ড:
ইশান হাবিব রেদোয়ান
শেষ মুহূর্তের নাটক
৮৭তম মিনিটে মাসুদ রানার নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। যোগ করা সময়ে গোললাইন থেকে হেড দিয়ে দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন মাসুদ নিজেই। এতে বাংলাদেশ দলের সমতা নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি
খেলা শেষের পর সাংবাদিকরা মাঠে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ অনুযায়ী, টিভি চ্যানেলসহ একাধিক সাংবাদিককে মাঠ থেকে জোরপূর্বক বাইরে বের করে দেওয়া হয়।