পরকীয়ার জেরে ছেলেকে হত্যার অভিযোগ ও মানববন্ধন উদ্দেশ্য প্রণোদিত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে মায়ের পরকীয়ার জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থী নাঈম খানকে হত্যার অভিযোগ ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী করেছেন নাঈমের গর্ভধারণী মা নাসরিন বেগম।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চাঁদপুর গ্রামে নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছেলে নাঈমের সাথে আমার বোনের মেয়ের দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ভালোবাসা ছিল। নাঈম ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে জানায়।কিন্তু ওই পরিবারের কেউ রাজী ছিল না। আমিও প্রথমে রাজী ছিলাম না। এক পর্যায়ে আমি রাজী হই। তবে আমার বোনরা রাজী না হওয়ায় নাঈম ওই মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বাড়ী থেকে না আসলে নাঈম মনে দুঃখে গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টার দিকে ঘরের দরজা আটকিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গামছা পেঁছিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। এসময় আমার চিৎকারে আমার কাকাতো ভাইসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে নাঈমকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ময়না তদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তরের সময় নাঈমের বাবা মান্নান খা (আমার সাবেক স্বামী) এ মৃত্যুকে পুঁজি করে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে আমাকে হয়রানী ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে এবং গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালে নাঈমের বাবা মান্নান খার সাথে আমার খোলা তালাক হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নাঈম ও আমার বড় মেয়ে সম্পা আক্তারীর সম্মতিক্রমে রফিকুল ইসলামের সাথে আমার বিয়ে হয়। সে আমার বিবাহিত স্বামী।
মানববন্ধনে আমার সাবেক স্বামী যে অভিযোগ করেছেন তা মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
উল্লেখ্য, নিহত নাঈম রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ধুঞ্চী গোদার বাজার গ্রামের মান্নান খানের ছেলে।২০০৬ সালে নাঈমের বাবা মান্নান খান জীবিকার টানে দুবাই যান। ২০১৩ সালে মান্নান খান দুবাই থেকে বাড়ীতে আসেন। ২০১৭ সালে পারিবারিক অশান্তির কারণে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *